শাহীন আহমেদ
গাজিপুর জেলার কাপাসিয়ার ধাঁধার চরে কেমন যেন একটা স্যাঁতস্যাঁতে ভাব। হঠাৎ করে আকাশে এক ঝিলিক রোদ দেখা গেল। দুপুরের চকচক সোনা রোদ। পাশেই নদীতে থৈ থৈ জলরাশি। উপরে দিগন্ত বি¯তৃত খোলা আকাশ। মাছরাঙা পাখির হুটহাট জলচুম্বন। জলের সাদা ফেনা থেকে আছাড় খাচ্ছে ২৩৯ একর জমি নিয়ে গভীর জলের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা ধাঁধার চরের বুক। দূর থেকে দেখলে এ চরটিকে অনেকটা সেইন্ট মার্টিনস-এর মত মনে হয়। ধাঁধার চরের অবস্থানটা বেশ ধাঁধা লাগানো। চরের একপাশে শীতলক্ষ্যা নদী, অপর পাশে ব্রহ্মপুত্র নদ। দুই দিকে দুই থানা কাপাসিয়া ও শিবপুর। আর আছে দুই পাশে দুই জেলা গাজীপুর ও নরসিংদী। বর্ষা মৌসুমে দুইটি নদীই থাকে গর্ভবর্তী। জলে টইটুম্বর। আর শীতকালে এটি হয়ে ওঠে আরও মনোরম, আরও মনোলোভা। তখন দুই নদীর জল শুকিয়ে হাটুজলের নিচে চলে যায়। লোকজন পায়ে হেঁটেই চরে আসতে পারে। স্থানীয় তারাগঞ্জ, লাখপুর, রাণীগঞ্জ ও চরসিন্দুর-এর মাঝখানে এ চরকে দেখলে মনে হয় ভাসমান টাইটানিক গ্রাম। ধাঁধার চর লম্বায় ৪ কিঃ মিঃ, চওড়ায় বর্ষায় আধা কিঃ মিঃ। আর শীতকালে আনুমানিক এক কিঃ মিঃ ব্যাপী বি¯তৃত। এই আলো আঁধারের জীবন নিয়ে চরবাসী আছেন হাসি-আনন্দ, দুঃখ-বেদনা নিয়ে। চরের বাসিন্দা সত্তরোর্ধ রমিজ উদ্দীনের জবানীতে তা ফুটে উঠল। চরকে কেন্দ্র করে তাদের জীবন নির্বাহ হয়। আনুমানিক ২০০ বছর আগে জেগে ওঠা এই চরকে স্থানীয়রা কেউ কেউ বলেন মাঝের চর। কারণ এটি ব্রহ্মপুত্র নদ ও শীতলক্ষ্যা নদীর সঙ্গম স্থলে অবস্থিত। এক সময় এই চরের নাম-নিশানা ছিল না। ছিল বহমান নদী। তারপর আস্তে আস্তে বিন্দু বিন্দু বালুকণা জমতে জমতে বেলে মাটিতে পূর্ণ হয়ে এক সময় যখন চর জেগে ওঠে, তখন স্থানীয় লোকজন এটি দেখে ধাঁধায় পড়ে যান। সেই থেকে এর নাম ধাঁধার চর।
জেগে ওঠা চরের মালিকানা নিয়ে ভাওয়ালের রাজা এবং বার ভূইয়াদের এক ভূঁইয়া মহেষ উদ্দীনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। শেষে মালিকানা পেয়ে যান ভাওয়ারের রাজা। তারপর স্থানীয় হিন্দু কৃষকরা ভাওয়ালের রাজাকে খাজনা দিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন। ১৮১৬-১৮১৯ সালে ব্রিটিশরা এর জরিপ করে এবং খাজনা প্রদানের মাধ্যমে হিন্দু কৃষকদের বৈধ মালিকানা প্রদান করে। কিন্তু ১৯৪৭ সালের দেশ-বিভাগের পর সব হিন্দুরা চরের জমি স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে ভারতে পাড়ি জমান। এসব না জানা তথ্য জানালেন স্থানীয় বয়োঃজ্যেষ্ঠ মুসলেহ উদ্দীন আহমদ মেম্বার। বর্তমানে পুরো চরের মালিকানা মুসলিম কৃষকদের হাতে। এদেরই একজন রমিজ উদ্দীন চরে বসতি গেড়েছেন দীর্ঘ চার যুগ আগে। তিনিই এখন চরের জীবন্ত ইতিহাস। তার জীবনের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে যথেষ্ট ঝড়-ঝাপটা। তার দু’খানি ঘরের একটির ছাদে টিনের শেড আর লেপামোছা মাটির দেয়াল। নিকানো উঠোন বেশ ফকফকা ভাব। ঘরের চারপাশ ফলফরাদিতে ভরা। টিনের চালে ধরেছে চাল কুমড়া, একপাশে ঝুলে আছে কিছু কাঁকরোল, উচ্ছে আর চিচিংগা। আরও আছে হাল চাষের বলদ, দুধের গাভী, খড়ের গাদা আর গোয়াল ঘর। আরও আছে কত নাম না জানা ফল। এ যেন এক বাগান বাড়ি। চরের মাটি খুবই উর্বর। এখানে রোপণ করলে হয় না, এমন কোন ফল বাংলাদেশে নেই। এক সময় চরে প্রচুর আখ হত। এখন সবচে’ বেশি আলুর চাষাবাদ হয়। চরের মাটির তলে বা মাটির ওপরে যা রোপণ করা হোক না কেন তা অতিফলনীশল এবং তা সারবিহীন ও সুস্বাদু। চরে আছে একটি বটবৃক্ষ। ভাওয়ালের রাজার সময় থেকে এখানে পূজা-অর্চনা শুরু হয়। এখনও কার্তিক মাসে স্থানীয় পূজারীরা এখানে আসেন। পূণ্যের আশায় করেন পুজো-তর্পন। আমরা কথা বলছিলাম রমিজ উদ্দীনের নিকানো উঠোনে বসে। তিনি আমাদের গল্পের মত শোনাচ্ছেন চরের কথা। ১৯৬০, ১৯৮৮, ১৯৯৮ সালের বন্যায় চর তলিয়ে গিয়েছিল। ১৯৬০ সালের বন্যার পর চরে কোমর পর্যন্ত পানি জমে ওঠে। ফলে মাটির উর্বরাশক্তি আরও বাড়তে থাকে। এই চরে বিজলি নেই, টিভি নেই, এমনকি একটি রেডিও চোখে পড়ল না। শুধালাম চাচা মিয়া নামাজ পড়েন কীভাবে? বললেন ফজর, জোহর পড়ি সূর্য দেখে আর আসর, মাগরিব পড়ি ঝিঙে ফুল দেখে। যেমন ঝিঙে ফুল ফুটলে আসরের ওয়াক্ত শুরু আর ফুল চুপসে গেলে মাগরিবের ওয়াক্ত শুরু হয়। রমিজ উদ্দিন যখন আমাদের সঙ্গে আলাপ করছিলেন, তখন চরে অনতিদূরে তালগাছগুলো পাতা নেড়ে সন্ধ্যাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। টকটকে লাল সূর্য শীতলক্ষ্যা ও ব্রহ্মপুত্রের গভীরে রাত্রির জন্য ঘুমোতে যাচ্ছে। হয়তো গভীর রাতে নামবে আকাশ বেঙে ধবল জোছনা। সূর্য মামা সকালবেলা ঘুম থেকে চরকে নতুন জামা পরিয়ে দেবেন। উদিত সূর্যের আলোকে আলোকিত হয়ে উঠবে ধাঁধার চর। ঝিরঝিরে বাতাস। উড়ন্ত পাখির কলকাকলি। মাঝির আকুল করা গান, নদীর কূল নেই রে-চরের বুক দিয়ে হাটলে কল্পনা করা যাবে না এটি একটি চর-যার দু’পাশে রাক্ষুসে দুই নদী। মনে হবে মাসি-পিসির ঘুম পাড়ানো শান্ত-øিগ্ধ একটি গ্রাম। তবে মাঝে মাঝে চরে চুরি সংঘটিত হয়। চোররা গরু, ছাগল ও ফসল ইত্যাদি চুরি করে নিয়ে যায়। মলিন বদনে বেদনা বিধুর হয়ে রমিজ উদ্দীন আমাদের এইটুকু জানালেন। তবে চরকে নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে বেশ উচ্ছাস লক্ষ্য করা গেল- স্থানীয় রতন, আজিজ, পুলক, সাইফুল জানালেন, শীত এবং বর্ষা মৌসুম ছাড়াও ঈদে চর বিপুল লোক সমাগম ঘটে। এছাড়া প্রায় বিকেলে এখানে অনেকে আসেন আড্ডা দিতে। আবার কেউ কেউ বন্ধু বান্ধবদের জন্মবার্ষিকীও এখানে পালন করেন। মোট কথা স্থানীয় তরুণদের আড্ডা এখানে লেগেই থাকে। ধাঁধার চর দেখতে আসেন ভ্রমণ পিপাসুরা দূর-দূরান্ত থেকে। এই চরকে যদি পর্যটন করপোরেশনের আওতায় আনা হয়, তাহলে পর্যটকরা এটি দেখে মুগ্ধ হবেন। আর সরকারের তহবিলে জমা পড়বে বিপুল পরিমাণে কাগজী মুদ্রা। সত্যিকার অর্থই এটি দেখার মত একটা জায়গা। যেভাবে আসা যাবে-ঢাকার গুলিস্তান বা ফার্মগেট থেকে কাপাসিয়া আসবেন। ভাড়া লাগবে মাত্র ১০০টাকা। এখান থেকে সোজা তারাগঞ্জ চলে এলেই দেখা যাবে দুই নদীর বুকে ভাসছে অদ্ভুত ধাঁধা লাগানো একটি চর। এরই নাম ধাঁধার চর। ছবি:মোস্তাফিজ মামুন
গাজিপুর জেলার কাপাসিয়ার ধাঁধার চরে কেমন যেন একটা স্যাঁতস্যাঁতে ভাব। হঠাৎ করে আকাশে এক ঝিলিক রোদ দেখা গেল। দুপুরের চকচক সোনা রোদ। পাশেই নদীতে থৈ থৈ জলরাশি। উপরে দিগন্ত বি¯তৃত খোলা আকাশ। মাছরাঙা পাখির হুটহাট জলচুম্বন। জলের সাদা ফেনা থেকে আছাড় খাচ্ছে ২৩৯ একর জমি নিয়ে গভীর জলের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা ধাঁধার চরের বুক। দূর থেকে দেখলে এ চরটিকে অনেকটা সেইন্ট মার্টিনস-এর মত মনে হয়। ধাঁধার চরের অবস্থানটা বেশ ধাঁধা লাগানো। চরের একপাশে শীতলক্ষ্যা নদী, অপর পাশে ব্রহ্মপুত্র নদ। দুই দিকে দুই থানা কাপাসিয়া ও শিবপুর। আর আছে দুই পাশে দুই জেলা গাজীপুর ও নরসিংদী। বর্ষা মৌসুমে দুইটি নদীই থাকে গর্ভবর্তী। জলে টইটুম্বর। আর শীতকালে এটি হয়ে ওঠে আরও মনোরম, আরও মনোলোভা। তখন দুই নদীর জল শুকিয়ে হাটুজলের নিচে চলে যায়। লোকজন পায়ে হেঁটেই চরে আসতে পারে। স্থানীয় তারাগঞ্জ, লাখপুর, রাণীগঞ্জ ও চরসিন্দুর-এর মাঝখানে এ চরকে দেখলে মনে হয় ভাসমান টাইটানিক গ্রাম। ধাঁধার চর লম্বায় ৪ কিঃ মিঃ, চওড়ায় বর্ষায় আধা কিঃ মিঃ। আর শীতকালে আনুমানিক এক কিঃ মিঃ ব্যাপী বি¯তৃত। এই আলো আঁধারের জীবন নিয়ে চরবাসী আছেন হাসি-আনন্দ, দুঃখ-বেদনা নিয়ে। চরের বাসিন্দা সত্তরোর্ধ রমিজ উদ্দীনের জবানীতে তা ফুটে উঠল। চরকে কেন্দ্র করে তাদের জীবন নির্বাহ হয়। আনুমানিক ২০০ বছর আগে জেগে ওঠা এই চরকে স্থানীয়রা কেউ কেউ বলেন মাঝের চর। কারণ এটি ব্রহ্মপুত্র নদ ও শীতলক্ষ্যা নদীর সঙ্গম স্থলে অবস্থিত। এক সময় এই চরের নাম-নিশানা ছিল না। ছিল বহমান নদী। তারপর আস্তে আস্তে বিন্দু বিন্দু বালুকণা জমতে জমতে বেলে মাটিতে পূর্ণ হয়ে এক সময় যখন চর জেগে ওঠে, তখন স্থানীয় লোকজন এটি দেখে ধাঁধায় পড়ে যান। সেই থেকে এর নাম ধাঁধার চর।
জেগে ওঠা চরের মালিকানা নিয়ে ভাওয়ালের রাজা এবং বার ভূইয়াদের এক ভূঁইয়া মহেষ উদ্দীনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। শেষে মালিকানা পেয়ে যান ভাওয়ারের রাজা। তারপর স্থানীয় হিন্দু কৃষকরা ভাওয়ালের রাজাকে খাজনা দিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন। ১৮১৬-১৮১৯ সালে ব্রিটিশরা এর জরিপ করে এবং খাজনা প্রদানের মাধ্যমে হিন্দু কৃষকদের বৈধ মালিকানা প্রদান করে। কিন্তু ১৯৪৭ সালের দেশ-বিভাগের পর সব হিন্দুরা চরের জমি স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে ভারতে পাড়ি জমান। এসব না জানা তথ্য জানালেন স্থানীয় বয়োঃজ্যেষ্ঠ মুসলেহ উদ্দীন আহমদ মেম্বার। বর্তমানে পুরো চরের মালিকানা মুসলিম কৃষকদের হাতে। এদেরই একজন রমিজ উদ্দীন চরে বসতি গেড়েছেন দীর্ঘ চার যুগ আগে। তিনিই এখন চরের জীবন্ত ইতিহাস। তার জীবনের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে যথেষ্ট ঝড়-ঝাপটা। তার দু’খানি ঘরের একটির ছাদে টিনের শেড আর লেপামোছা মাটির দেয়াল। নিকানো উঠোন বেশ ফকফকা ভাব। ঘরের চারপাশ ফলফরাদিতে ভরা। টিনের চালে ধরেছে চাল কুমড়া, একপাশে ঝুলে আছে কিছু কাঁকরোল, উচ্ছে আর চিচিংগা। আরও আছে হাল চাষের বলদ, দুধের গাভী, খড়ের গাদা আর গোয়াল ঘর। আরও আছে কত নাম না জানা ফল। এ যেন এক বাগান বাড়ি। চরের মাটি খুবই উর্বর। এখানে রোপণ করলে হয় না, এমন কোন ফল বাংলাদেশে নেই। এক সময় চরে প্রচুর আখ হত। এখন সবচে’ বেশি আলুর চাষাবাদ হয়। চরের মাটির তলে বা মাটির ওপরে যা রোপণ করা হোক না কেন তা অতিফলনীশল এবং তা সারবিহীন ও সুস্বাদু। চরে আছে একটি বটবৃক্ষ। ভাওয়ালের রাজার সময় থেকে এখানে পূজা-অর্চনা শুরু হয়। এখনও কার্তিক মাসে স্থানীয় পূজারীরা এখানে আসেন। পূণ্যের আশায় করেন পুজো-তর্পন। আমরা কথা বলছিলাম রমিজ উদ্দীনের নিকানো উঠোনে বসে। তিনি আমাদের গল্পের মত শোনাচ্ছেন চরের কথা। ১৯৬০, ১৯৮৮, ১৯৯৮ সালের বন্যায় চর তলিয়ে গিয়েছিল। ১৯৬০ সালের বন্যার পর চরে কোমর পর্যন্ত পানি জমে ওঠে। ফলে মাটির উর্বরাশক্তি আরও বাড়তে থাকে। এই চরে বিজলি নেই, টিভি নেই, এমনকি একটি রেডিও চোখে পড়ল না। শুধালাম চাচা মিয়া নামাজ পড়েন কীভাবে? বললেন ফজর, জোহর পড়ি সূর্য দেখে আর আসর, মাগরিব পড়ি ঝিঙে ফুল দেখে। যেমন ঝিঙে ফুল ফুটলে আসরের ওয়াক্ত শুরু আর ফুল চুপসে গেলে মাগরিবের ওয়াক্ত শুরু হয়। রমিজ উদ্দিন যখন আমাদের সঙ্গে আলাপ করছিলেন, তখন চরে অনতিদূরে তালগাছগুলো পাতা নেড়ে সন্ধ্যাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। টকটকে লাল সূর্য শীতলক্ষ্যা ও ব্রহ্মপুত্রের গভীরে রাত্রির জন্য ঘুমোতে যাচ্ছে। হয়তো গভীর রাতে নামবে আকাশ বেঙে ধবল জোছনা। সূর্য মামা সকালবেলা ঘুম থেকে চরকে নতুন জামা পরিয়ে দেবেন। উদিত সূর্যের আলোকে আলোকিত হয়ে উঠবে ধাঁধার চর। ঝিরঝিরে বাতাস। উড়ন্ত পাখির কলকাকলি। মাঝির আকুল করা গান, নদীর কূল নেই রে-চরের বুক দিয়ে হাটলে কল্পনা করা যাবে না এটি একটি চর-যার দু’পাশে রাক্ষুসে দুই নদী। মনে হবে মাসি-পিসির ঘুম পাড়ানো শান্ত-øিগ্ধ একটি গ্রাম। তবে মাঝে মাঝে চরে চুরি সংঘটিত হয়। চোররা গরু, ছাগল ও ফসল ইত্যাদি চুরি করে নিয়ে যায়। মলিন বদনে বেদনা বিধুর হয়ে রমিজ উদ্দীন আমাদের এইটুকু জানালেন। তবে চরকে নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে বেশ উচ্ছাস লক্ষ্য করা গেল- স্থানীয় রতন, আজিজ, পুলক, সাইফুল জানালেন, শীত এবং বর্ষা মৌসুম ছাড়াও ঈদে চর বিপুল লোক সমাগম ঘটে। এছাড়া প্রায় বিকেলে এখানে অনেকে আসেন আড্ডা দিতে। আবার কেউ কেউ বন্ধু বান্ধবদের জন্মবার্ষিকীও এখানে পালন করেন। মোট কথা স্থানীয় তরুণদের আড্ডা এখানে লেগেই থাকে। ধাঁধার চর দেখতে আসেন ভ্রমণ পিপাসুরা দূর-দূরান্ত থেকে। এই চরকে যদি পর্যটন করপোরেশনের আওতায় আনা হয়, তাহলে পর্যটকরা এটি দেখে মুগ্ধ হবেন। আর সরকারের তহবিলে জমা পড়বে বিপুল পরিমাণে কাগজী মুদ্রা। সত্যিকার অর্থই এটি দেখার মত একটা জায়গা। যেভাবে আসা যাবে-ঢাকার গুলিস্তান বা ফার্মগেট থেকে কাপাসিয়া আসবেন। ভাড়া লাগবে মাত্র ১০০টাকা। এখান থেকে সোজা তারাগঞ্জ চলে এলেই দেখা যাবে দুই নদীর বুকে ভাসছে অদ্ভুত ধাঁধা লাগানো একটি চর। এরই নাম ধাঁধার চর। ছবি:মোস্তাফিজ মামুন
No comments:
Post a Comment